গত কয়েক দিন ধরে দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলছে তাপপ্রবাহ, গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করছে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষসহ শহরবাসী। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এই তীব্র গরম কিছুটা প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আগামী সপ্তাহে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির দাপট থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ বা ৬ জুন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বাংলাদেশে। সে হিসাবে ঈদের সময় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন খুলনা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল, রাজধানীতে ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। সে সময় প্রথম দফা তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চলতি মাসের শুরুতে আরেক দফা তাপদাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, গত রবিবার থেকে এই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার পর্যান্ত এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপপ্রবাহ কমে আসবে। তবে এ দফায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হবে না।
আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
ঈদের সময়ে বৃষ্টি থাকতে পারে জানিয়ে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, প্রাক বর্ষায় বৃষ্টি কম হলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। জুনের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু নিয়ে বর্ষার আগমন ঘটবে। সেক্ষেত্রে তাপপ্রবাহ কেটে যাওয়ার পর এবার ঈদের সময় রাজধানীসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাসের প্রথমার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করবে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।