Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৪০ জন অসহায়ের চাল আত্মসাৎ করলেন ইউপি চেম্যারম্যান

রাহাত রাজা, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০৬:০১ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ০৬:০১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম থাকলেও বঞ্চিত হয়েছেন ভুক্তভোগী অনেকেই।

এ ব্যাপারে খাদিজা, জবেদা, সালমা বেগমসহ একাধিক সুবিধাবঞ্চিত নারীরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেও কোন ফল না পেয়ে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ ইউপি সচিব, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান আকুল কাশেম মোড়ল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ৪০১ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সে অনুযায়ী গত ১৬ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়।

কিন্তু ওই তালিকায় নাম থাকার পরও প্রায় ৪০ জন অসহায় দরিদ্র পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ না করে সমস্ত চাল আত্মসাৎ করা হয়। ভুক্তভোগি খাদিজা ও আনছার আলী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল একজন বিএনপির লিডার। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমরা যারা গরিব অসহায় আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি তাদের কোন কার্ড না দিয়ে যারা জামায়াত-শিরিবের ক্যাডার ও নাশকতা মামলার আসামি, তাদেরকে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আ’লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আ’লীগের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। এমনকি সরকারি নীতিমালা অনুসারে পুরাতন কার্ডধারীরা কেউ নতুন কোন কার্ড পাবেন না।

তারা বলেন, ওই তালিকার ২৯২ ও ২৯৫নং ক্রমিকের মাজিদা ও ময়না বেগম পুরাতন কার্ডধারী। তাদের নামে নতুন কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩১২ ক্রমিকে রোকেয়া খাতুন একজন ধনী ব্যক্তি। অথচ তার কার্ড দেয়া হয়েছে।

এদিকে, ৩১৫নং ক্রমিকে আরবী বিবি ১২ বিঘা জমির মালিক। তাকেও কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৩১৭নং ক্রমিকে জাহানারা বেগম এর ২ তলা বাড়ির কাজ চলমান। অথচ তাকেও কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ভাতাভোগিরাও এ সুবিধা পাচ্ছেন। এলজিএসপি ১% টিআর এডিপি বরাদ্দেরও কাজ না করে টাকা হজম করে দিচ্ছেন এই চেয়ারম্যান।

এসব অভিযোগ লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে তারা জানান। তাই তারা নিরুপায় হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

এদিকে জেলা প্রশাসক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আমি কোন অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

Bootstrap Image Preview