Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে রুমে ডেকে যৌন হয়রানি প্রধান শিক্ষকের

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০৫:২৬ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ০৫:২৬ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী।

নির্বাহী কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৭৬, তাং-২৮/০৫/২০১৯ইং।

এদিকে মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার শিকার ওই ছাত্রী শহরের মধ্য অরণকোলা এলাকার বাসিন্দা।

শিক্ষার্থীর অভিযোগ, শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১টার দিকে প্রধান শিক্ষক তার কক্ষ ঝাড়ু দেয়ার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে ডাকেন। সহপাঠীরা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এসময় কক্ষে প্রধান শিক্ষক ছাড়া আর কেউ ছিল না। পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন তিনি।

শিক্ষার্থীর মা বলেন, স্কুল হতে ফিরে এসে মেয়ে আর ভাত খায়নি। খুব গম্ভীর ছিল। পরদিন মেয়ে জানায়, ‘আম্মু আমি আর স্কুলে যাব না।’ কারণ জানতে চাইলে মেয়ে আমাকে বিস্তারিত জানায় মেয়ে।

এদিকে একই স্কুলের আরও দুইজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে। এই দুই শিক্ষার্থী জানায়, আমাদের আরও কয়েকজন বান্ধবী এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। আমরা আর প্রধান শিক্ষকের কাছে পড়তে চাই না।

ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া এবং শরীর নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার বাড়িতে জানায়। পরে বাড়ির লোকজন বিষয়টি নিয়ে বিচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যান। পরামর্শ অনুযায়ী অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচারের আবেদন দেয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে জানানো হবে। তবে প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রীর অভিযোগ সত্য নয়। শত্রুতা করে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview