Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকাস্থ রামগতি-কমলনগরের ছাত্র পরিষদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সুলতান মাহমুদ আরিফ, তিতুমীর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০৩:৩৩ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ০৫:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


ইফতার মাহফিল তো নয়, যেন রামগতি-কমলনগরের মিলনমেলা। ঢাকার ধানমন্ডির স্টার কাবাব পরিণত হয়েছিল এক টুকরা রামগতিতে। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার লোকজন সামিল হয় এ মিলনমেলায়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া "রামগতি-কমলনগর ছাত্র পরিষদ" এর ইফতার ও দোয়ার মাহফিল উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ২৮-০৫-২০১৯ ধানমন্ডি স্টার কাবাব এন্ড রেস্টুরেন্টে রামগতি-কমলনগর ছাত্র পরিষদের  ইফতার ও দোয়ার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- রামগতির সাবেক চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী শামীম, মোঃ জসিম উদ্দিন, ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহ ফয়েজসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের ঢাকাস্থ রামগতি-কমলনগরের জনগণ।

প্রধান অতিথির আলোচনায় শফিউল বারী বাবু বলেন, রামগতি এবং কমলনগরের ছাত্র পরিষদকে আন্তরিক অভিনন্দন । তোমরা প্রতি বছর আমাদেরকে এমন সুন্দর মিলনমেলা উপহার দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই। আজকের ইফতার মাহফিলে হোক বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি। সবাই গণতন্ত্রের ধারক-বাহক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করবেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সারাজীবন মানুষের অধিকার আাদায় করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। শিক্ষানীতির উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, রাস্তা-কালভার্ট তৈরি এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। আর বর্তমান সরকার এ রকম একজন লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটক করে গণতন্ত্র হত্যার পায়তারা করছে। যা বিশ্বের ইতিহাসের এক কলংকময় নজির স্থাপন। তিনি বেগম জিয়ার উপর এই অমানবিক নির্যাতনের বিচার আল্লাহর কাছে পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন।

তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতেছে। তোমরা বাংলাদেশের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনবা এই প্রত্যাশা তোমাদের কাছে। রাষ্ট্রের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ আজ ধ্বংসের দিকে ধাবমান। বাংলাদেশে একজন শিশু জন্মগ্রহণ করা মাত্রই তার মাথার উপর ৬৫ হাজার টাকার ঋণের ভার এসে পড়ে। সরকার মেগাবাইট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের নামে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আমাদের উপর ঋণের ভার চাপিয়ে দিচ্ছে।

অতএব শহিদ জিয়ার স্বপ্নের এই সোনার বাংলাদেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই দেশ রক্ষার দ্বায়িত্ব আমাদের। আমরাই এই দেশে আবার গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ। তিনি আবারও দেশনেত্রী এবং দেশের জন্য দোয়া চেয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

অবশেষে, ইফতার কার্য শুরুর প্রাক্কালে মোনাজাতে দেশ, জাতি এবং বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করা হয়।

Bootstrap Image Preview