ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের কর্মচারি শহিদকে আটক করে তার বিরুদ্ধে ফেনসিডিল পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনগুলো।
সোমবার (২৭ মে) দুপুর দেড়টায় ভোমরার পাঁচটি শ্রমিক কর্মচারি সংগঠন যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভোমরা বন্দরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় আটক নুর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারি শহিদকে না ছাড়া পর্যন্ত তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভোমরা সিএন্ডএফ কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি পরিতোষ ঘোষ জানান, আজ সকালে নুর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারি শহিদ চার লাখ টাকা নিয়ে সাউথ বাংলা ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভোমরার বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুজিবর রহমান তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে তার মোটরসাইকেলের সিটের নিচে তিন বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভোমরা বন্দরে কর্মরত কর্মচারি অ্যাসোসিয়েশন, লেবার অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, হ্যান্ডলিং শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন ও লেবার অ্যাসোসিয়েশন (২২ নম্বর) এর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। পরে তারা ভোমরা বন্দরে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় আমদানিকৃত ভারতীয় পণ্য খালাস বন্ধ করা ছাড়াও ভারতীয় গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করে দেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোমরা বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুজিবর রহমান জানান, শহিদকে ফেনসিডিল ও টাকাসহ আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খোন্দকার জানান, শহিদকে হুন্ডির টাকাসহ ধরা হয়েছে। পরে তার সিটের নিচে পাওয়া গেছে ফেনসিডিল।