হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় এবং চুনারুঘাট উপজেলায় এক নারী চা শ্রমিকসহ দুই জনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়।
সোমবার (২৭ মে) সকালে ও ভোররাতে পৃথক স্থান থেকে লাশ দু'টি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সোমবার সকালে শহরের বানিয়াচং রোড়ে কৃষ্ণা রিপায়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক নিহত দিলীপ রায়ের ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে শহরের উমেদনগর এলাকার দিপংকর রায়ের ছেলে। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে দিলীপ তার দোকান বন্ধ করে মুড়ারবন্দ মাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে পরিবারের লোকজন দোকান খোলে তার লাশ তীরের সাথে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার ছুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত জিয়াউর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না।
অন্যদিকে, চুনারুঘাট উপজেলার লাল চান চা-বাগান থেকে জলিকা মুন্ডা (২২) নামে এক চা-শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ।
সোমবার ভোররাতে উপজেলার লাল চান চা-বাগানের পাথর টিলায় নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জলিকা মুন্ডা বাগানের রাজেন মুন্ডার স্ত্রী।
ঘটনার খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাজেন মুন্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীকে আটক করা হয়েছে।