নরসিংদীর মনোহরদীতে আর্থিক সঙ্কট ও ঠিকমতো ভরণ-পোষণ দিতে না পেরে নিজের দুই মেয়েকে হত্যা করেছে শফিকুল ইসলাম নামে এক বাবার বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ এই তথ্য জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে তিনি।
অভিযুক্ত পিতা শফিকুল ইসলাম পেশায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা প্রহরী। অপরদিকে, নিহতরা হলেন শফিকুল ইসলামের দুই মেয়ে তাইন (১১) ও তানিশা (৪)।
প্রসঙ্গগত, শুক্রবার (২৪ মে) ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে মনোহরদীর গ্রামের বাড়ি থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে শিবপুরে আসেন শফিকুল। এ সময় ডাক্তার না পেয়ে তিনি মেয়েদের নিয়ে নরসিংদী লঞ্চ টার্মিনালে ঘুরতে থাকেন। এক পর্যায়ে ছোট মেয়েটি লিচু খেতে চাইলে তার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকাতে তিনি বিষন্ন হয়ে পড়েন। এছাড়াও ঈদে দুই মেয়েকে নতুন জামা-কাপড় দেয়ার চিন্তা এবং সংসারের তীব্র অভাব অনটনের কথা ভেবে শফিকুল হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এরই প্রেক্ষিতে প্রথমে ছোট মেয়েকে এবং পরে বড় মেয়েকে লঞ্চ টার্মিনালের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
পরবর্তীতে, শুক্রবার (২৪ মে) রাতে নরসিংদী লঞ্চঘাটের বাথরুম থেকে দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। এই ঘটনায় শিশুদের বাবা শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহাম্মেদ আরো বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় শফিকুল ইসলামকে মানষিক ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে পরিবার মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।