Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পুলিশের নির্যাতনে মাংস বিক্রেতার মৃত্যু, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০১৯, ০৪:৩০ PM
আপডেট: ২৫ মে ২০১৯, ০৪:৩০ PM

bdmorning Image Preview


টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় পুলিশের নির্যাতনে আব্দুল হাকিম (৫০) নামে এক মাংস বিক্রেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল, হাসপাতাল ঘেরাও করাসহ এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসীদের দাবি পুলিশের নির্যাতনের ফলেই নিরীহ মাংস বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও অভিযুক্ত এসআই এবং এএসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে ঝাওয়াইল টেকনিক্যাল কলেজ মাঠে আব্দুল হাকিমসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাস খেলছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে মাইক্রোবাস নিয়ে ওই মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় আব্দুল হাকিম, সুরুজ্জামান, হারাধন চন্দ্র, গৌরাঙ্গ চন্দ্র ও মো. রিপনকে আটক করে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে আটককৃতদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল হাকিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ নিহত আব্দুল হাকিমকে ফেলে রেখে অপর চারজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আব্দুল হাকিমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত হাকিমের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে হাকিমের মৃত্যু হয়েছে। তারা এই ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

এ দিকে হাকিমের মেরুদণ্ডের হাঁরের পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতালের চিকৎসক।

ঝাইওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, একজন সুস্থ মানুষকে আটক করার পর তার মৃত্যু হলো। বিষয়টি রহস্যজনক। এর সুষ্ঠু তদন্ত হলে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটিত হবে।

এদিকে হাকিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঝাওয়াইল গ্রামের শত শত মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল করে এসআই তাহেরসহ এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পরবর্তীতে, রাত দশটার দিকে স্থানীয় সাংসদ ছোট মনির এবং জেলা পুলিশ সুপার গোপালপুর হাসপাতালে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ও দাবি পূরণে আশ্বস্ত করে ঘটনার উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, জুয়ার আসর থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। হাকিম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Bootstrap Image Preview