টাঙ্গাইলের সখিপুরে বনের ভেতর গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার অজ্ঞাত লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করেছেন তার মা বাছিরন নেছা।
বৃহস্পতিবার সখীপুর থানায় গিয়ে কাপড়, জুতা, গয়না ও ছবি দেখে ওই লাশটি তার মেয়ে রিনা বেগমের বলে দাবি করেন তিনি। রিনা বেগম টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার খরুল্লা গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে।
মা বাছিরন নেছা জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে তার মেয়ে রিনা আক্তারকে জেলার ঘাটাইল থানার আঠারদানা গ্রামের শাহ আলমের কাছে বিয়ে দেন। তাদের সংসারে ১৬ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। বছর চারেক আগে স্বামী শাহ আলম একমাত্র সন্তানকে রেখে রিনাকে তালাক দেয়। এরপর থেকেই রিনা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত ১৫ দিন ধরে তার মেয়ে রিনা নিখোঁজ ছিল। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ফেসবুকে তার মেয়ে রিনা বেগমের লাশের ছবি দেখে তিনি সখীপুর থানায় যোগাযোগ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আইয়ুব খান বলেন, বাছিরন নেছাকে জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও লাশের ময়নাতদন্তের সময় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
গত ৯ মে সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউপির নয়াপাড়া পশ্চিম আরামবাগ এলাকায় বনের ভেতর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এক অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিচয় না পাওয়ায় রাতেই টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। পুলিশের ধারনা তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বনের ভেতর ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।