Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য অসাধারণ সুযোগ: মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯, ০৭:০০ PM
আপডেট: ১৭ মে ২০১৯, ০৭:০০ PM

bdmorning Image Preview


ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,দেশে তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলিত পদ্ধতিটি সম্পূর্ণরূপে ডিজিটাল হবে এবং সেদিনটি খুবই কাছে। আগামী দু‘এক বছর পর ডিজিটাল কমার্সের আওতায় কোনটা নাই সেটা খুঁজতে হবে। বাণিজ্যের ডিজিটাল এই রূপান্তর তরুণপ্রজন্মের আত্ম-কর্মসংস্থানের অসাধারণ সুযোগ তৈরি করেছে।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জিপিও চত্বরে ডাক অধিদপ্তর এবং ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ই-কমার্সে সংযুক্ত হয়ে এই খাতে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। এই খাতের চ্যালেঞ্জের জায়গাগুলো যা ছিলো তার প্রায় সবগুলোই অতিক্রান্ত হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জটি ছিলো পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে নিরাপদে পৌঁছানো। ডাক অধিদপ্তরের ৪৩ হাজার কর্মীবাহিনী এবং গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ডাক অধিদপ্তরের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেটাও সফলজনকভাবে অতিক্রম করা হয়েছে।

সভ্যতার বিকাশের  প্রথম স্তরগুলোতে পিছিয়ে থাকায় প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃতে অগ্রগতি অগ্রযাত্রায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ পাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বাংলার মাটিতে পদার্পন করেছিলেন। সে দিনের পর থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্লের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লড়াই শুরু করে ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের পর থেকে গত দশ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির মহাসড়কে  এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে বলেন মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী গ্রাহক সন্তোষ্টির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদানের বিষয়টি ই-ক্যাব কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, গ্রাহক সন্তোষ্টি না থাকলে ব্যবসা শোরুম বা এনালগ পদ্ধতি কিংবা ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা হোক না কেন ব্যবসার সফলতা আসবে না। ক্রেতা বা ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করতে পারলে মানুষ ডিজিটাল ব্যবসার প্রতি মানুষ প্রচলিত ব্যবসার চেয়ে অনেক বেশী আস্থা রাখতে পারে। এই ব্যাপারে আইনগত কাঠামো তৈরিতে সহযোগিতাসহ ডিজিটাল কমার্স বিকাশে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর বলেন মন্ত্রী।

টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী ডিজিটাল ব্যবসা প্রসারে ট্রেড বডির একটি বড় ভুমিকা থাকে উল্লেখ করে বলেন, ই-ক্যব সদসরা গ্রাহকদের সাথে যাতে কোন প্রকার প্রতারণা করতে না পারে, গ্রাহক সন্তষ্টি যাতে নিশ্চিত করা যায় এক্ষেত্রে ই-ক্যাবকে ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্র, সাবেক মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল এবং দারাজ সিইও সৈয়দ মিস্তাহিদুল  হক বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী মেলার উদ্বোধনের পর স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় মোট ৮০টি স্টল স্থান পেয়েছে।

Bootstrap Image Preview