সিলেট মহানগরীর পশ্চিম পাঠানটুলায় প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তা (২৯) নামের এক নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবী আবাসিক এলাকায় স্বামীর বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রিয়াংকা সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের ঋষিকেশ তালুকদারের মেয়ে। তিনি সিলেট পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী প্রকৌশলী দিবাকর দেব, শ্বশুর সুভাস দেব ও শ্বাশুরি রত্না দেবকে আটক করেছে।
প্রায় ৫ বছর আগে সিলেটের পাঠানটুলার সুভাস দেব ও রত্না দাসের ছেলে প্রকৌশলী দিবাকর চন্দ্র দেব কল্লোল এর সাথে ডাঃ প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তার বিয়ে হয়। তাদের এক বছরের একটি শিশু পুত্রও রয়েছে।
নিহত প্রিয়াংকার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের (স্বামী, শ্বাশুরি ও ননদের) সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না প্রিয়াংকার এবং তার মৃত্যু রহস্যজনক বলেও দাবি করছেন পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা।
নিহত প্রিয়াংকার বাবা বলেছেন, প্রিয়াংকার সংসারে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো প্রতিনিয়ত। রবিবার সকালে আমাকে জানানো হয়, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটি বিশ্বাস করিনি আমি। আমি নিশ্চিত আমার মেয়েকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ জন্যই জালালাবাদ থানায় মেয়ের শ্বশুর সুভাস দেব, শ্বাশুরি রত্না দাস ও জামাই দিবাকরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।
সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি শাহ মো. হারুনুর রশীদ বলেন, রবিবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট পেলে ও তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছি।