উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগে না এই গ্রামে ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু রাস্তা ঠিক হয় না। এমন অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের দোমারিয়াগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের সাংলাদ্বীপ গ্রামের ভোটাররা রোববার ভোটদানে বিরত ছিলো।
রবিবার (১২ মে) ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ছিলো ষষ্ঠ দফার ভোট।
ওই গ্রামের ভোটাররা ভোট দিতে না আসায় নির্বাচনী কর্মকর্তারা গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে যান। ভোটারদের ভোট দিতে আসতে অনুরোধ করেন তারা। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয়নি। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে ভোট নেওয়ার কথা ছিল। সে মতো নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং পুলিশকর্মীরা সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন সেই ভোটাররাই এলেন না। ওই গ্রামে প্রায় সাড়ে পাঁচশ ভোটার রয়েছেন। রাস্তা না হওয়ায় প্রতিবাদে তারা কেউই রোববার ভোটকেন্দ্রে আসেননি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও তারা বহুবার রাস্তা ঠিক করার জন্য সোচ্চার হয়েছিলেন। ভোটের মুখে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন নেতারা। কিন্তু ভোটের পর তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি। রাস্তাও ঠিক হয়নি। তাই এবার ভোটই দিলেন না সাংলাদ্বীপ গ্রামের ভোটাররা।
কেবল ভাঙা রাস্তা নয়, গ্রামবাসীরা আরো অনেক সমস্যা মোকাবেলা করছেন। প্রতি বছর বর্ষায় ভেসে যায় গোটা গ্রাম। পাশের নদী উপচে ঢোকে গ্রামে। গোটা গ্রাম তখন যেন পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটা দ্বীপ। পাকা রাস্তা না থাকায় সকলকে ভেতরেই থাকতে হয়। কেউ বাইরে যেতে পারেন না। বাইরে থেকেও কেউ আসতে পারেন না গ্রামে। কিন্তু প্রশাসনের যেন কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তাই তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
এ নিয়ে এক গ্রামবাসীর বক্তব্য, ‘আমরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিলে দিতেও পারি। কিন্তু এবার দেব না।’
তবে তাদের ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা। স্থানীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার উমেশচন্দ্র নিগম বলেছেন, ‘আমরা বারবার গ্রামবাসীদের ভোট দিতে আসতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।’
লোকসভা নির্বাচনে ষষ্ঠ দফায় উত্তরপ্রদেশের ১৪টি আসনে ভোট হয়েছে। গতবার এই ১৪টির মধ্যে ১৩টিতে জিতেছিল বিজেপি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আর ১৩টি আসনে ভোট বাকি রয়েছে। আগামী রোববার শেষ দফায় ওই আসনগুলোতে ভোট হবে।