১৭ বছরের এক কিশোরীর বাল্যবিয়ে ঠেকাতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন দুই নারী ও সরকারি এক কর্মকর্তা। গ্রামবাসীর মারধরে আহত ওই দুই নারী ও সরকারি কর্মকর্তা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার ভারতের তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী জেলার পভলাথুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। দেশটির একটি দৈনিক বলছে, সরকারি এক কর্মকর্তা ও একটি এনজিও দুই নারী কর্মী ১৭ বছরের এক কিশোরীর বিয়ে ঠেকাতে পভলাথুর গ্রামে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন।
তারা কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে বিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টায় পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপ আকার ধারণ করে। গ্রামবাসীরা তাদের বেধড়ক মারধর করেন।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ধর্মপুরী চাইল্ড লাইনের দুই নারী কর্মী ও সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সংস্থার কর্মীরা স্থানীয় পুলিশের সাহায়তা নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে যান। তাকে জোর করে পরিবারের আত্মীয় এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশের সহায়তায় চাইল্ড লাইনের কর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে একটি বাসে করে ধর্মপুরী থেকে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় গ্রামবাসীরা ওই বাসের পিছু নেন। বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর বাসটি দাঁড়ায়। এ সময় বাসে উঠে মেয়েটিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন গ্রামবাসীরা।
বাসের ভেতরে চাইল্ড লাইনের দুই নারী কর্মী বইথিসওয়ারি ও সরোজাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাদেরকে উদ্ধারের পর সরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।