Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নোংরা পরিবেশেই তৈরী হচ্ছে একমি-ডেকোসহ নামিদামি সব সেমাই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ০৮:৩১ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ০৮:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


একমি, ডেকোসহ দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য তৈরি হচ্ছে কামরাঙ্গীচরের আশরাফাবাদ এলাকার নোংরা স্যাতস্যাতে পরিবেশে। বৃহস্পতিবার র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেখা গেল এমন দৃশ্য।

অভিযানকালে দেখা যায় উপরে নোংরা টিনের চাল। যাতে জমে আছে ধুলা ময়লা। চারপাশে নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। সেমাই বানাচ্ছেন শ্রমিকরা। কিন্তু হাতে নেই গ্লাভস। অথচ ওই সেমাই প্যাকেজিং হয়ে যাচ্ছে একমি, ডেকোসহ দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এমন নোংরা পরিবেশে তৈরি হওয়া সেমাই তারা বিক্রি করছেন চড়া দামে।

এদিন আশরাফাবাদ এলাকার হাবিবা ফুড প্রোডাক্টস এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। এ সময় ধুলাবালিতে সেমাই তৈরির চিত্র দেখতে পায় র‌্যাব। এ ছাড়াও যেকোনো কারখানায় কাজ করার ক্ষেত্রে গ্লাভস ব্যবহারের বিধান থাকলেও এখানে খালি হাতেই সেমাই তৈরির কাজ করছেন শ্রমিকরা। এমনকি সেমাই তৈরির কাজ করে তারা হাত ধুয়েছে কিনা-সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়।

অথচ এসব পণ্য বাজারে যাচ্ছে একমি ডেকো, শাহী মদিনা, বোম্বের মতো ব্র্যান্ডের মোড়কে। ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে গত বছর অভিযান চালানো হয়েছিল। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তবে কিছু বিষয়ে এখনও ঠিক না করায় তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।

একই অভিযানে কামরাঙ্গীরচরের বড় গ্রাম এলাকার রহমান গলিতে সোনিয়া কনজ্যুমার গুডসের কারখানায় যায় র‌্যাব। সেখানে বিপুল পরিমাণে রোজ শরবত, চাটনি, বরইয়ের আচার, চকলেট ইত্যাদি পাওয়া যায়; যা নিম্নমানের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। র‌্যাবের অভিযানে সংবাদ শুনেই কারখানা থেকে পালিয়ে যায় মালিক। কাউকে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

Bootstrap Image Preview