সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীতে মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলে কৃষকের ফসল ও ঘর বাড়ি ব্যাপক বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছে।
সরজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জানান, ফণীর আঘাতে ৮৭ টি চৌচালা বসতঘর, ৪৯ টি দোচালা বসতঘর, ৬৫ টি রান্নাঘর ও ৬০ টি গোয়াল ঘর ও প্রায় ৩০ টি কাচারি ঘর ল-ভ- হয়ে যায়।
প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে রয়েছে ধান, মরিচ, বাদামসহ নানান জাতের কাঁচা তরকারি। কৃষকের অসংখ্য গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশুও মারা গেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় এমপির প্রতিনিধির পরিসংখ্যান সুত্রে জানা গেছে, ৮৭ টি চৌচালা ঘরের দাম ধরা হয়েছে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা, রান্নাঘর, দোচালা ঘর, গোয়াল ঘর ও কাচারি ঘরগুলোর দাম ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি টাকা।
এছাড়াও ফসল ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. জসিম উদ্দিন জানান, আমরা গত কয়েক দিন ধরে চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করছি। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর, কাচারি ঘর, ফসল ও গৃহপালিত পশুসহ প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল জানান, আমার এলাকার চরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা সরকারের কাছে আমি তুলে ধরবো। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারি সহায়তায় একটু হলেও প্রাণে বাঁচে। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে তিনি নিজ তহবিল থেকেও সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে রাত সাড়ে তিনটা সময় উপজেলার চরউমেদ, বোরোচর ও বাহেরচর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ফণীর ঝড়ো বাতাসে এসব ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে চরাঞ্চলবাসী।