Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আমি ভাতা চাই না, মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই’

এসএম বাচ্চু, তালা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ০৯:৩৮ PM
আপডেট: ০৮ মে ২০১৯, ০৯:৪০ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ বিডিমর্নিং


পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার জৈাতা গ্রামের মৃত এসমাইল ফকিরের পুত্র মুক্তিযোদ্ধা দলিল উদ্দীন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সত্বেও এখনও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন না। তার একটি মাত্র শেষ ইচ্ছা জীবনে আর কিছু চাই না শুধু একটু মুক্তিদ্ধোর স্বীকৃতি চাই।

প্রকাশ, বাউখোলা থানার জৈাতি গ্রামের দলিল উদ্দীন ১৯৭১ সালে পুর্ব পাকিস্থান (তৎকালীন) বালাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ৯নং সেক্টর লিড কমান্ডার পঞ্চম আলী অধীনে আনসার ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়। অতঃপর তার কমান্ড অনুযায়ী সহকারি পিড কমান্ডার মকিম ভায়ের সাথে কালিশুরীসহ অত্র অঞ্চালের বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর বিরেুদ্ধে অংশগ্রহন করে দারগা মান্নান রাজাকারের সাথে যুদ্ধ কালীন সময় আমার মাথা ও পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত পাই। আমি এলাকায় যুদ্ধ করার সময় আমরা সঙ্গী হিসাবে বিলবালিস গ্রামের মৃত:ইয়াছিন পুত্র নুর ইসলাম খান, মৃত: আমুর হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম, হোসেনাবাদ গ্রামের মিঞ্চা খানের পুত্র মোখলেছুর রহমান, মৃত গগন আলী প্যাদা পুত্র আব্দুল আলী, দক্ষিণ বিলাসপুর গ্রামের আবুল কাশেস শিকদারের পুত্র খলিলুর রহমান, কালু চৌকিদারের পুত্র সুলতান আহমেদ, গজ্ঞর হাওলাদারের পুত্র আলী হোসেন হাওলাদার, মৃতঃ লেদু মৃদার পুত্র আলাউদ্দীন, মৃতঃ কাঞ্চন আলী পুত্র আব্দুর রশিদসহ বাংলাদেশের ৯নং সেক্টর আমাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধো অংশগ্রহণ করেন।

দলিল উদ্দীন জানান, আমি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হানাদারবাহীনি থেকে মুক্তি করতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশ্র গ্রহন করি যখন মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরো হয় তখন আমি ঢাকায় অবস্থান করার সত্বেও তৎকালীন পটুয়াখালী নির্বাহী অফিসার এ, বি এমসাদিকুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে লিপিবদ্ধ করার জন্য সুপারিশ করেন।

১৫/১২/১৭ তারিখে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার ও আমার পক্ষে সুপারিশ করেন। আমার আইডি নাম্বার ১৬৮৯৯ থাকা সত্বেও হাজির নেই দেখিয়ে বাদ দিয়ে দেন। আমার কাছে তৎকালীন সেনা প্রধান আতাউল গনি উসমান কর্তৃক দেশ রক্ষা বিভাগের স্বাধীনতা সংগ্রাম সনদপত্র, মুক্তিযোদ্ধায় তালিকায় অন্তুভুক্ত সিরিয়াল নাম্বার ২০৮ এর প্রমান পত্র তৎকালীন পটুয়াখালী কমান্ডার মীর মুজিবর রহমান কর্তৃক প্রতায়ন পত্র, তৎকালীন ন্যাশনাল মিলিটারী ক্যাম্প কতৃক সদন পত্র, মেহেদী আলী ইমরান কর্তক ৯নং সেক্টরের আমর্স সনদ পত্র আছে। তবু কেন আমি বাংলাদেশ নাম এ ভুখন্ড স্বাধীন করার জন্য স্বীকৃতি পাব না।

তিনি আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন আমার ভাতার দরকার নেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই। 

Bootstrap Image Preview