Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মোটরযানের নকল কাগজ প্রস্তুতকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ১২:২৯ PM
আপডেট: ০৮ মে ২০১৯, ১২:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ বিশেষ অভিযানে বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) এর রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেনসহ মোটরযানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় নকল কাগজপত্র প্রস্তুতকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সকাল ১১টায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম।

এসময় তিনি জানান,  ০৭ মে, ২০১৯ ইং তারিখ বেলা ০৩ টায় রাজাধানীর পূর্ব কাফরুল এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল- মো. আঃ খালেক (৬৭), মো. আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), মো. আঃ জলিল (৬৪), মো.আ.রহিম (৩১) ও মো. মোতালেব হোসেন (৫৮)। ০৭ মে, ২০১৯ ইং তারিখ বেলা ০৩ টায় রাজাধানীর পূর্ব কাফরুল এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ মোটরযানের জাল রুট পারমিট ফরম, রুট পারমিট, রেজিষ্ট্রেশন সনদপত্র, ফিটনেস সনদপত্র, ট্যাক্স টোকেন ফরম, বীমা ফরম, বীমা স্ট্যাম্প স্টিকার, ডকুমেন্ট প্রাপ্তি রশিদ, রেজিষ্ট্রেশন আবেদন ফরম, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অফিসের ১৫০ টি সিল এবং গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও এসকল কাগজপত্র জালকরণে ব্যবহৃত ১টি ১৭ ইঞ্চি কালার মনিটর, ১টি সিপিইউ, ১৬০ জিবি হার্ডডিস্ক এবং ১টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়।

গাড়ির কাগজপত্র জাল করণ সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রায় ১০/১২ বছর ধরে মোটরযানের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে আসছে। গাড়ি ও চালকের চাহিদা ভেদে তারা বিভিন্ন অংকের অর্থের বিনিময়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ এর ন্যায় সকল ধরণের প্রয়োজনীয় জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত ও সরবরাহ করত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে গ্রাহক সংগ্রহ করে বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যার এর সাহায্যে নকল এসকল কাগজপত্র বানিয়ে নিজেরাই সিল স্বাক্ষর করে পুনরায় গ্রাহকদের সরবরাহ করত। গ্রাহকদের বেশিরভাগই যারা অদক্ষ ড্রাইভার হিসেবে অথবা চোরাই বা ত্রুটিযুক্ত গাড়ির জন্য স্বল্প খরচে এই চক্রের মাধ্যমে জাল কাগজপত্র সংগ্রহ করত।

এছাড়াও প্রতারক চক্রটি দালাল হিসেবে বিভিন্ন সময় আসল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী গ্রাহকদেরও জাল কাগজপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করত বলে স্বীকার করে। তারা ক্ষেত্রবিশেষে গাড়ি প্রতি সকল কাগজপত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ৫,০০০-৬,০০০ টাকা আদায় করত। এ ক্ষেত্রে সরকার বিপুল রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হতো।

জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রস্তুতকারী পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী মোস্তফা কামাল জয় ও তার সহযোগী আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নিকট হতে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কাফরুল এলাকায় উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোঃ আনোয়ারুল হক শিমুল ও মোঃ আঃ জলিল পূর্বেও পুলিশ কর্তৃক জাল কাগজপত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়ে তারা পূনরায় তাদের জাল কাগজপত্র প্রস্তুতের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো।

Bootstrap Image Preview