ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরাকে আকস্মিক সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল পম্পেওর। কিন্তু সেই সফর বাতিল করে তিনি ইরাকি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দেশটির নেতাদের সঙ্গে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
মার্কিন বোমারু বিমান মোতায়েনের কয়েক দিনের মাথায় তিনি ইরাকে সফরে গেলেন। ইরাকে বেশ কিছু বি-৫২ মডেলের বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের তরফ থেকে মার্কিন বাহিনী এবং এর মিত্রদের ওপর চলমান হুমকির জবাবেই ওই জঙ্গিবিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
তবে ইরানের তরফ থেকে কি ধরনের হুমকি এসেছে সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ইরাক সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পম্পেওর এই সংক্ষিপ্ত সফর বলা হয়, পম্পেও ইরাকের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন এবং তাদের এ বিষয়ে নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে ইরাক একটি সার্বভৌম ও একটি স্বাধীন জাতি।
এ ছাড়া পম্পেও এনার্জিবিষয়ক চুক্তিতে ইরানের ওপর কম নির্ভরশীল হতে ইরাককে সাহায্য করতে চেয়েছেন।