বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব কাটতে না কাটতে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। টানা দুইদিন ধরে চলা তীব্র দাবদাহে বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অনেক স্থানে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, দাবদাহ চলতে পারে তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত। মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ।
গত সোমবার দেশের বেশির ভাগ স্থানের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, নীলফামারী, দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। যা দাবদাহ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। নিম্নচাপ দুইটির মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবীদ মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং দেশের মধ্যাঞ্চলে দাবদাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। দাবদাহ তিন-পাঁচদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এছাড়া মে মাসে সাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।