রমজানের প্রথম দিন রাজধানীর বাদামতলীর শাহাজাদা মিয়া লেনে মেয়াদোত্তীর্ণ ও লেবেলহীন খেজুরের গুদামে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের গুদামে কাউকে না পেয়ে দরজায় তালা ভেঙে গোডাউনে প্রবেশ করে র্যাব।ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় গুদামে শত শত নতুন ও খালি কার্টন রাখা হয়েছে। পুরনো কার্টনের খেজুরগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, তাই সেগুলো নতুন কার্টন ঢুকানোর প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
গুদামের কিছু কার্টনে লেখা ইরাকের ডেট ক্রাউন খেজুর। মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে ২০২০ সালে। তবে কার্টনগুলো খুলে পাওয়া গেল পচা, গলা খেজুর। হাঁটতে দেখা গেল পোকা। শুধু তাই নয় অনেক খেজুরের প্যাকেজিং এর তারিখ দেওয়া ১০ মে, ২০১৯। যা আজ থেকে ৩ দিনের অগ্রিম!
গোডাউনে ডেট ক্রাউন নামে একটি খেজুরের কার্টন পাওয়া গেছে যার মেয়াদ এপ্রিল মাসেই শেষ হয়ে গেছে। সারওয়ার আলম বলেন,এসব কার্টনের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এপ্রিল লেখা থাকলেও এগুলো দেড় বছর আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ। এখানে মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিকার ও কার্টন পরিবর্তন করা হয়।
এরপর অভিযান চালানো হয় সেই গুদামের মালিক মো. রুবেলের মা এন্টারপ্রাইজের শোরুমে। সেখানে গিয়ে পুরনো খেজুর নতুন কার্টনে দেখা যায়। এছাড়াও সেখানে একটি খেজুরের গায়ে প্যাকেজিংয়ের তারিখ ১০ মে উল্লেখ করা, যা আসতে আরও ৩ দিন বাকি! তাইয়েবা ডেট ফ্যাক্টরির এসব খেজুরের প্যাকেটে ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়া কিউআর কোড।
সারোয়ার আলম বলেন, এখানে শত শত খালি কার্টন রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরগুলোকে ঢোকানোর জন্য এখানে রাখা হয়েছে। এগুলো পচা-গলা, ভেতরে পোকা চলাফেরা করছে। এগুলোর মান নষ্ট হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা খেজুরের কার্টনগুলো কেটে ডেট সিরাপ স্প্রে করে। মানহীন এসব খেজুরে স্প্রে ব্যবহার করে খাওয়ার পরদিনই ডায়রিয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আগে এসব খেজুর কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগারে) রাখা হতো। আমরা সেখানে অভিযান চালিয়েছি। তাই তারা গরমে এভাবে গুদামে খেজুর রেখেছে। দুপুর ১২ টায় শুরু হওয়া অভিযান চলছে। অভিযান শেষে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানিয়ে দেয়া হবে।