Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, সতর্ক থাকার পরামর্শ

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ০৪:৫২ PM
আপডেট: ০৬ মে ২০১৯, ০৪:৫২ PM

bdmorning Image Preview


নরসিংদীতে তাপদাহে মানুষের অবস্থা শ্বাসরুদ্ধকর। আর এই প্রচণ্ড গরমে শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া ও ব্রঙ্কিউলাইটিস (শ্বাসকষ্ট) রোগের প্রকোপ। এ ছাড়া নিউমোনিয়া তো আছেই। এসব রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রায় কয়েকগুণ বেড়েছে বলে বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে বিগত সময়ের চেয়ে ৩ গুণ বেশি শিশু রোগী ভর্তি হয়ে আছে ওয়ার্ডগুলোতে।

শিশু ওয়ার্ডে সাত বছরের তামিমকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে ভর্তি করা হয়েছে এই হাসপাতালে। তার পরিবার বলেন, প্রায় তিন সাপ্তাহ যাবৎ আমার সন্তানের জ্বরসহ কাশি থাকায় হাসপাতাল আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রুত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

অপরদিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে একই চিত্র দেখা যায়। শিশু ওয়ার্ডগুলোতে শিশু রোগী আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

সদর হাসপাতালের ডাক্তার শামসুন্নাহার বলেন, শিশুদের হঠাৎ ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা রোগ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের শিশুদের চিকিৎসা দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রায় সবকয়টি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়রিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস ও নিউমোনিয়া, সবকয়টি রোগই ভাইরাসজনিত রোগ। তবে নিউমোনিয়ার প্রকোপ শিশুদের মাঝে সারা বছর কম-বেশি দেখা গেলেও ব্রঙ্কিউলাইটিসের প্রকোপ তেমন থাকে না।

কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের সময় আরএসবি (রেসপিরেটরি সিনসেটিয়াল ভাইরাস) ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত এই রোগটির প্রকোপ হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। আর গরমে যোগ হয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এ নিয়ে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের হাসপাতালটির শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিশু-স্বাস্থ্য বিভাগে অন্য সময় দৈনিক ৪ থেকে ৫ জন শিশু ব্রঙ্কিউলাইটিস (শ্বাসকষ্ট) রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হতো। কিন্তু গত কয়েক দিনে এই রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তির হার দৈনিক ১৫ থেকে ২০ জন।

আর এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ঘর ও শিশুকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, শিশুর নাক পরিষ্কার রাখা এবং শিশুর শরীরে ঠাণ্ডা লাগতে না দেওয়ার পরামর্শ দেন নরসিংদী জেলা হাসপাতালের ২০৩ ওয়ার্ডের ড. জসিম।

আর গরমের মৌসুমে শিশু যাতে বেশি না ঘামে, শিশুর শরীরে যাতে বেশিক্ষণ কাপড় না থাকে এবং মাঝরাত থেকে শেষ রাতে যাতে কোনমতেই ঠাণ্ডা না লাগে শিশুর মা-বাবাকে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

Bootstrap Image Preview