Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্যা ঝুঁকিতে কুতুবদিয়ার ২ লাখ মানুষ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ১১:০৪ AM
আপডেট: ০৬ মে ২০১৯, ১১:০৫ AM

bdmorning Image Preview


কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। দুই বছরে বেড়িবাঁধের এক-তৃতীয়াংশ কাজও শেষ হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার পরিবর্তন করার পরও যথাসময়ে কাজ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।

এদিকে ফণীর প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারে পানি উপচেপড়ায় বেড়িবাঁধ আরও ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে জোয়ার ভাটার দোলাচলে দুলছে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। এতে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন এ উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, কুতুবদিয়ায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে প্রায় ৯২ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়।

১৪ কিলোমিটার কাজের মধ্যে রয়েছে ৯ দশমিক ৪৩ কিমি মাটির কাজ, বাকিটা ব্লকের কাজ। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ কাজটির কার্যাদেশ পান জয়েন্টভেঞ্চার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। আগামী জুন মাসে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক দিন পর্যন্ত কাজটি বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এ কাজটি এ বর্ষা মৌসুমে শেষ করার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

বর্তমানে পুরো উপজেলা জোয়ার ভাটার দোলাচলে দুলছে। ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে সমুদ্রের পানি ঢুকে কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্ষার আগে এসব বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ শেষ করা না গেলে প্রায় দুই লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ২০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি। নির্ধারিত তিন লাখ ব্লকের মধ্যে মাত্র ৬০ হাজার ব্লক তৈরি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, বর্ষার আগে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শেষ করা দরকার। তা না হলে পুরো এলাকা সামুদ্রিক জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের কুতুবদিয়ার শাখা কর্মকর্তা এলটন চাকমা জানান, সমন্বিত তদারকির অভাবে কাজটি যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেয়া হয়েছে। নতুনভাবে অন্য কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।

Bootstrap Image Preview