কাঠের কাজে অন্যদেশে থাকেন ওই নারীর স্বামী। দুই ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেই থাকতেন পুত্রবধূ। আর এই সুযোগে পুত্রবধূকে ৩ বছর ধরে ধর্ষণ করে শ্বশুর শেখ আব্দুল মান্নান (৬০)।
ভারতের পাঁশকুড়ার মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে- শাশুড়ি কোনও কাজে বেরিয়ে যাওয়ার ফাঁকেই বধূর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাত মান্নান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এই অত্যাচার চলত ওই নারীর দুই ছোট ছেলের সামনেই। ঘটনার কথা যাতে বধূ কাউকে না বলতে পারেন সে জন্য তার দুই নাবালক ছেলেকে গলায় ছুরি বসিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হত। যে কারণে টানা ৩ বছর শ্বশুরের অত্যাচার মুখবুজে সহ্য করছিলেন তিনি।
জানা গেছে, শ্বশুরের এই অত্যাচারের জন্য গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। কিন্তু তার দুই নাবালক ছেলের চিত্কার শুনে তাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। সেই থেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নির্যাতিতা। শনিবার সুস্থ হয়েই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনার বিবরণে পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে তার শ্বশুর-শাশুড়ি চাষের কাজে মাঠে ছিলেন। সেই ফাঁকে অভিযুক্ত মান্নান তার স্ত্রীকে মাঠে রেখেই বাড়ি ফিরে আসে। আর দুই নাবালক ছেলের সামনেই আত্যাচার চালায়।
তিনি বলেন, স্বামী-শাশুড়ির অবর্তমানে প্রাণে মারার হুমকি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর আমাকে ধর্ষণ করেছে। বাধা দিলে আমার দুই ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দিত। তাই কিছু করে উঠতে পারিনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, শশুরের ফাঁসি চাই।