Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফণীর পর এবার আঘাত হানলো তীব্র ভূমিকম্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০১৯, ০৯:৪৪ PM
আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ০৯:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ফণীর রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতের সীমান্তে তীব্র ভূমিকম্প। শনিবার বিকেলেই কম্পন অনুভূত হয় ভারতের সীমান্তে।

এদিন বিকেল ৪টে ৩৩মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্র ছিল ৫.৪। কম্পনের প্রভাব পড়েছে ভারত ও মায়ানমারে।

ভারতের নাগাল্যান্ডের মন থেকে ৯৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ওই কম্পন হয়। কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ১০০ কিলোমিটার। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।

দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওড়িশা। গতকাল সকালে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়ো হাওয়াসহ ফণী ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানে। খবর রয়টার্স, নিউজ১৮ডটকম, বিবিসি ও সিএনএন।

ওড়িশা পুলিশের মহাপরিচালক সঞ্জিব পান্ডা জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে রাজ্যটিতে সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির চার জেলায় এ প্রাণহানির ঘটনাগুলো ঘটে। মূলত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভবনের দেয়াল ধসে ও ভেঙে পড়া গাছ চাপা পড়ে নিহতদের প্রাণহানি ঘটে।

ফণীর আঘাতে ওড়িশায় শত শত গাছ উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় রাজ্যের বেশির ভাগ অংশ বিদ্যুিবচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান পুরী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। তীব্র বাতাসের কারণে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের বহু ফ্লাইট বাতিলের পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করতে থাকা ফণী অবশেষে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ওড়িশায় আঘাত হানে। ঝড়ের কারণে সৃষ্ট তীব্র বাতাস ও ভারি বর্ষণে দৃষ্টিসীমা বিঘ্নিত হয়ে পড়ে। প্রদেশের রাজধানী ভুবনেশ্বর ও পুরীর রাস্তা জনবিরল হয়ে পড়তে দেখা যায়।

ফণীর আঘাতে পুরী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শহরটির বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে বলে প্রদেশের স্পেশাল রিলিফ কমিশনার বিষ্ণুপদ শেঠি জানিয়েছেন। তীব্র বাতাসে শহরে বহু বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে। ভূমিধসে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির সরাসরি ফণীর যাত্রাপথে পড়েছে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই ১১ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার।

এখন পর্যন্ত ফণীর কারণে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে সাতজনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে। এর মধ্যে পুরীতে গাছচাপায় এক কিশোর এবং নয়াগড় জেলায় উড়ে আসা ধ্বংসাবশেষের আঘাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

তীব্র ঝড় ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটে প্রভাব ফেলেছে। এরই মধ্যে ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য অগ্রিম প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি ডলার (১ হাজার কোটি রুপি) বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডে মোদির আগামীকাল অনুষ্ঠেয় নির্বাচনী সভাটি পিছিয়ে সোমবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝড়ের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সব ধরনের নির্বাচনী র‌্যালি বাতিল ঘোষণা করেছেন।

Bootstrap Image Preview