Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমের ফাঁদে পড়ে ১২ বছরের কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০১৯, ০৯:৪৪ PM
আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ০৯:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুললেও শেষে বেঁকে বসে প্রেমিক সাঈদ ওরফে কাইল্লা। ১২ বছরের এক কিশোরী তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে এখন ৬ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। এদিকে নিজের দোষের কথা শিকার করে কৌশলে পালিয়ে থাকলেও গ্রেফতার হয়েছে কাইল্লাকে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২। 

মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের মৈশাদী গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বখাটে মো. সাঈদ ওরফে কাইল্লা। শাহজাহান গজরা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। কাইল্লা সিঙ্গাপুর প্রবাসী।

এব্যাপারে ধর্ষিত কিশোরীর মা জানান, সাঈদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৭/৮ মাস ধরে এ সম্পর্ক করছে। কয়েকবার তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। কয়েকবার তাদের মধ্যে কাইল্লাকে বিয়ে করার কথা বলে আমার মেয়ে। কিন্তু সে করবে-করছে বলে কালক্ষেপণ করে। হঠাৎ আমার মেয়ের শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার ছেংগারচর বাজারের একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর জানতে পারি তার গর্ভে ৬ মাসের বাচ্চা রয়েছে।

এ সময় কাইল্লাও সাথে ছিল। এরপর থেকে সে তাকে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় কাইল্লা তাকে পাত্তা না দিয়ে বিষ খেয়ে মরতে বলে। কাইল্লার মা-বাবা, দাদিসহ আত্মীয়রাও বাচ্চা নষ্ট করার জন্য কয়েকবার বলেছে আমার মেয়েকে। সে আমার কাছে এসব কথা স্বীকার করেছে। পরে আমরা আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

ওই কিশোরীর পরিবার গ্রামের মাতাব্বর, ইউনিয়ন পরিষদে মৌখিক অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বলেন।

নির্যাতিত কিশোরী জানান, আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর সে আমারে বিয়ে করতে রাজি হয় না। উল্টো গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে নিরুপায় হয়ে আমার আমার পরিবারকে জানাই। আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট হোক আমি চাই না। যেন কোন মেয়ে কারো প্রলোভনে এমন ভুল না করে।

কিশোরীর ভাই আরিফ হোসেন এ বিষয়টি মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও মতলব উত্তর থানার ওসি মিজানুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানিয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। কাইল্লা ও তার পিতাকে আসামী করে মামলা দায়ের করার পর দুইজনকেই গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন থানা পুলিশ।

মতলব উত্তর থানার (ওসি) তদন্ত মুরশেদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনসহ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে। ছেলে ও পিতা দুই আসামীকেই আমরা গ্রেফতার করেছি। তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হবে।  

Bootstrap Image Preview