মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় ব্যবহৃত আরও একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের দেওয়া তথ্যমতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পুকুর থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই'র ওসি মো. শাহ আলম জানান, নুসরাত হত্যা মামলার ৩ নম্বর আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে নিয়ে মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে ওই মাদ্রাসার পুকুরে তার দেখানো স্থান থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের সময় শামীম এ বোরকাটি ব্যবহার করে বলে পিবিআই জানায়।
এ দিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ৯ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নিহত নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।