বানিয়াচং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘন করে ৩ জন প্রধান শিক্ষক বদলির প্রস্তাব প্রেরণের অভিযোগ উঠেছে।
জ্যেষ্ঠদের বাদ দিয়ে তিনি সর্বকনিষ্ঠ শিক্ষকদের বদলির প্রস্তাব পাঠান। শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নিয়ম থাকলেও শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম তা করেননি। বিধি লঙ্ঘন করে বদলির প্রস্তাবের খবরে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিতেন্দ্র চন্দ্র দাশ, মো.মাহতাব মিয়া, সৈয়দা সাবিহা ও সাথী রানী দাশ প্রতিকার চেয়ে সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, কাটখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে বদলির জন্য ১১ জন শিক্ষক আবেদন করেন। একাধিক আগ্রহী প্রার্থী থাকলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বদলির নিয়ম রয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে জলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) বিবেকানন্দ দাশকে কাটখাল স্কুলে বদলির প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কাছে।
জলিলপুর স্কুলের শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে গোপনে আবেদন সংগ্রহ করে টুপিয়াজুড়ি স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কান্তি পালকে বদলির প্রস্তাব দেন। সুজাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আবু মাসুদ মিয়াকে টুপিয়াজুড়ি স্কুলে বদলির প্রস্তাব পাঠান। এ দু'টি স্কুলের ৭ দিন পূর্বে পদ শূন্যর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নিয়ম থাকলেও কর্মকর্তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, নিয়মনীতি মেনেই বদলির প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী কোটায় শিক্ষক বিবেকানন্দ দাশ বদলির প্রস্তাব দেন। শিক্ষক প্রবীর কান্তি পাল ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মারামারি হওয়ার কারণে তার বদলির প্রস্তাব করেন। একজন মুসলিম শিক্ষক দেয়ার জন্য টুপিয়াজুড়ি স্কুলে শিক্ষক মোহাম্মদ আবু মাসুদ মিয়ার নাম প্রস্তাব করেন।