জয়পুরহাটে ঘূর্ণিঝড় ফণী'র প্রভাবে শনিবার (৪ মে) সকাল থেকেই থেমে থেমে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। ভোর ছয়টার দিকে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলেও প্রথমদিকে বাতাসের গতিবেগ কম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে গতিবেগ বাড়ে। এতে বোরো ধানের গাছ মাটির সাথে লেগে যায়। যার ফলে বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা।
দুপুর বারোটা থেকে বাতাসের গতি এবং বৃষ্টি কমে যায়। পরে বিকেল ৩টা থেকে বৃষ্টি থেমে যায়। কিন্তু তার আগেই ফণীর আগাম বার্তা হিসাবে শুক্রবার (৩ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি শুরু হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রত্যেক উপজেলায় এবং জেলা পর্যায়ে দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার পানীয় এবং অন্যান্য সুবিধা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে জেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বোরো ধানের মাঠে বেশ ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধানের গাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় এবং জমিতে পানি ওঠায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।