চট্টগ্রাম বন্দর জট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের রপ্তানি শিল্প। এ জট আসন্ন রমজানের পণ্য সামগ্রীর বাজার মূল্য উর্ধ্বমুখী করবে। দেশিয় শিল্পের উৎপাদন ব্যাহতসহ রাজস্ব আহরণ ব্যাহত হবে।
উল্লেখ্য চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে দৈনিক ২০টি জাহাজ আমদানি পণ্য নিয়ে আসে। এর মধ্যে গড়ে ১০টি জাহাজ রপ্তানি পণ্য নিয়ে যায়। ইদানীং পবিত্র শব-ই-বরাত, মে দিবস, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে ৪দিন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে মূলত ৭দিন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে। যে কারণে বহি:নোঙ্গরে ১৭টি কন্টেইনার জাহাজসহ বেশ কিছু জাহাজ বহি:নোঙ্গরে অবস্থান করছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ফনির কারণে জেটি নিরাপত্তার জন্য ৭টি জাহাজ রপ্তানি পণ্য ছাড়াই বহি:নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। এরূপ একটি দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ব্যবসায়ী তথা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি থেকে বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
১. যেহেতু ঘূর্ণিঝড় ফনির ব্যাপকতা এখন অনেকাংশে কম তাই জরুরি ভিত্তিতে অবিলম্বে বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি চালুকরণ।
২. দিবা-রাত্রি বন্দর থেকে থেকে ডেলিভারি চালু রাখার জন্য কাস্টম অফিসার নিয়োজিত রাখতে সম্মানিত কাস্টম কমিশনার মহোদয়কে বন্দর থেকে অনুরোধপত্র প্রেরণ।
৩. আবহাওয়া সংকেত কমা মাত্র রপ্তানি বোঝাইয়ের জন্য বহি:নোঙ্গরে প্রেরিত ৭টি জাহাজকে ফিরিয়ে এনে কন্টেইনার বোঝাই শুরুকরণ।
৪. কন্টেইনার জাহাজ বন্দরে বার্থিং নেওয়ামাত্র হুক পয়েন্ট থেকে ডাইরেক্ট ডেলিভারি প্রদানের ব্যবস্থাকরণ।
৫. অফ ডক থেকে কন্টেইনার, ট্রলি বন্দরে ঢোকার ১ ঘণ্টার মধ্যে তাহা বেরিয়ে আসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাকরণ।
৬. বন্দরের জট না হওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ৭/২৪ বন্দর পরিচালনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুক্র ও শনিবার কাস্টম কার্যক্রম চালু রাখাসহ সকল শিপিং কোম্পানি, ফরওয়ার্ডার এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট, সোনালী ব্যাংক কাস্টম শাখাসহ বন্দর কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের ব্যাংক সমূহের একটি বুথ খোলা রাখার জন্য বন্দর থেকে জরুরি পত্র প্রেরণ ও একটি সভার ব্যবস্থাকরণ।
চট্টগ্রাম মেট্রাপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি মনে করে, উপরোক্ত ব্যবস্থা সমূহ গৃহীত হলে ইদানীং অনাকাঙ্খিত সৃষ্ঠ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর জটের যে পরিস্থিতি হয়েছে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। উপকৃত হবে দেশের ব্যবসায়ী মহল ও আশানুরূপ রাজস্ব আহরণসহ বন্দর পরিচালনায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।