ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাতক্ষীরায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে উক্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিমধ্যে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১১৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন উঠতে শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় এখনও ৭ নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। অপর চারটি উপজেলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ১২'শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃহ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।