Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বাতিল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০১৯, ০৪:৫৮ PM
আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ০৪:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


ঘূর্ণিঝড় ‘ফণীর’ কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দু’টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বিমানের শনিবারের ঢাকা-কলকাতার সকালের বিজি ০৯৫ ফ্লাইট বিলম্ব হবে।

শুক্রবার বিমানের ঢাকা-যশোর বিজি ৪৬৭ ও যশোর-ঢাকা বিজি ৪৬৮ ফ্লাইট দু’টি বাতিল করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, এই ফ্লাইট বাতিলের সাথে সাথে শুক্রবার ঢাকা-কলকাতা বিজি ০৯৫ ফ্লাইট আগামীকাল শনিবার সকাল ৮:৩০ টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

দুই দশকের মধ্যে ভারতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছে। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর এবং পুরীতে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ভারি বর্ষণ হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে এই ঘূর্ণিঝড় তীর্থ নগরী পুরীর ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে গোপালপুর আর চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। ওই সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ওড়িশা অতিক্রম করার পর সেটি এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এদিকে, ফণীর প্রভাবে সকাল থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানায় এনডিটিভি।

ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপত্তা উদ্বেগে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে শনিবার পর্যন্ত তাদের ১৪৭টির বেশি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করেছে।

এদিকে ফণীর কারণে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরও শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে দুই শতাধিক ফ্লাইট।

যদিও এর আগে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় নতুন সময় ঘোষণা করা হয়।

উড়িষ্যার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিষ্ণুপাডা সেঠি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে পারবো। এর মধ্যে একজন, আশ্রয়কেন্দ্রে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মারা গেছেন। অপর একজন আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝড়ের মধ্যে বাইরে যান। সেসময় তার ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে তিনি মারা যান।

Bootstrap Image Preview