ভোলার চার উপজেলায় বিকেলে সেনাবাহিনী মোতায়ন হতে পারে। বাকি তিন উপজেলায় কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিকি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় ফনী মোকাবেলায় দ্বীপজেলা ভোলার সাতটি উপজেলায়ই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঝড়ের আগে, চলমান এবং ঝড় পরবর্তী-এই তিন ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ভোলায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রোদ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশে মেঘ দানা বাঁধে। পরে দু দফায় বৃষ্টি হয়। তবে এখন আবারো রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে ভোলার চরের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য সকাল থেকেই রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করে করেছে। তাদেরকে দিক নির্দেশনা প্রদান করছে সাত উপজেলার নির্বাহীসহ জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একাধিক টিম।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ফণীর দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার। ১০ হাজার ২০০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবককে উপকূলীয় এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চর নিজাম, চর আইচা, মনপুরা ,বঘার চর, চর কুকরি মুকরিসহ অর্ধ শতাধিক চরের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে দক্ষিণ জোনাল কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, পুলিশ, আনসার-এর সমন্বিত টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, এ দুর্যোগ মোকামেলায় তিন দফা বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রাখা হয়েছে দুই লাখ মেট্রিকটন চাল ও দুই হাজার ৫০০ প্যাকেট খাবার। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে যাতে দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি সহজে মোকাবেলা করা যায়।