৪০ দিনে দিনে ১৩বার হামলার সতর্কবার্তা এসেছিল কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই মহারাষ্ট্রে মাওয়াবাদীদের হামলায় ১৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহত সৈনিকদের পরিবার।
তারা বলছে, কার্যত নিজেদের দোষেই ১৫ জন জওয়ানকে তাদের জীবন দিতে হয়েছে৷ পুলিশ বিভাগ আরেকটু সচেতন হলেই এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা এড়ানো যেত।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার আগে প্রচুর আগাম তথ্যপ্রমাণ ছিল। কিভাবে হামলা চালানো হতে পারে, কোথায় নাশকতা চলতে পারে, কারা সেই হামলার নিশানা, সবই দেওয়া হয়েছিল গোয়েন্দা রিপোর্টে৷ তবে তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ যার নজির মহারাষ্ট্রের এই মাওবাদী হামলা৷
রিপোর্টে জানা গিয়েছিল ২০১৮ সালে কাসানাসুর ঘটনায় ৪০ জন মাওবাদীর নিকেশ হওয়ার বদলা নিতেই এই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে মাওবাদীরা৷ গড়চিরৌলিতে যে এই হামলা হতে পারে তাও জানিয়েছিল গোয়েন্দা রিপোর্ট৷ গত ৪০ দিনে মোট ১৩ বার সতর্কবার্তা জারি করা হয়৷
রিপোর্ট বলছে, জওয়ানদের গাড়ি যাওয়ার আগে একটি পর্যবেক্ষণ টিম এলাকা পরিদর্শন করে, এক্ষেত্রে সেটাও করা হয়নি৷ তাছাড়া এই জওয়ানদের জন্য মাইনরোধক কোনও গাড়ি ব্যবহার করা হয়নি৷ তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল সাধারণ মানের গাড়ি৷ ফলে বিস্ফোরণ অভিঘাত এত প্রবল হয়৷