Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফণীর সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মদ খেয়ে সমুদ্রে নামা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৯, ০৬:১৪ PM
আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ০৬:১৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দানবীয় রূপ নিয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বঙ্গোপসাগরে গত ৪৩ বছরে এপ্রিল মাসে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ‘ফণি’ সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। বঙ্গোপসাগরে উষ্ণতার কারণে অনেকটা অস্বাভাবিকভাবে সৃষ্ট এবং উপকূলে আঘাত হানতে দীর্ঘ সময় নেওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। উত্তাল হয়ে উঠছে সাগর।

বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে।

শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়বে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এরপর ফণীর অভিমুখ হবে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর এর গতিবেগ কিছুটা কমে যাবে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে গোপালপুর, চাঁদবালি ও পুরীর উপর আছড়ে পড়বে এই ভয়ঙ্কর ঝড় ৷

এদিকে ফণীর আঘাত থেকে পর্যটকদের বাঁচাতে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেছে দেশটির প্রশাসন ৷ উপকূল তীরবর্তী এলাকা থেকে পর্যটকদের ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ খালি করে দেওয়া হচ্ছে দিঘার হোটেল ৷

কিন্তু তার মধ্যেও আইন অমান্য করার প্রবণতা কমছে না পর্যটকদের৷ মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রে নেমে স্নান করছেন তাঁরা ৷ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দিঘা প্রশাসন৷

মাইকিং এর মাধ্যমে একটানা প্রচার চালানো হলেও পর্যটকদের মদ খেয়ে সমুদ্রে নামা ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দিঘা থানার পুলিশকে ৷ মালদা থেকে আসা এক মদ্যপ যুবককে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার সময় কোনও রকমে উদ্ধার করেছেন নুলিয়ারা।

য়ান ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী তিনদিন ওড়িশার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় যেখানে ফণীর জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেখানে ছুটি দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার খাতিরে। যেখানে সতর্কতা নেই, সেখানে এই ছুটি বর্ধিত গরমের ছুটি হিসেবে ধরা হবে। অর্থাৎ সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে কাল থেকেই গরমের ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রয়োজনে শেষের দিকে ছুটির মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।

দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সেকেন্ড ব্যাটালিয়ন। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ২ নম্বর ব্লকে মোতায়েন হয়েছে এনডিআরএফ-এর একটি দল। গতকাল থেকেই দিঘায় পর্যটক ও বাসিন্দাদের সতর্ক করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন এনডিআরএফ কর্মীরা। এছাড়া এই মুহূর্তে রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এনডিআরএফ-র ৬টি টিম।

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল, পশ্চিম মেদিনীপুরের নায়ারণগর, খড়গপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ, উত্তর চব্বিশ পরগনার ধামাখালী ও হাসনাবাদে রয়েছে বাকি দলগুলো। ফণী আছড়ে পড়ার সময় ও তার আগে-পরে কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে তা গ্রামবাসীকে বোঝাচ্ছেন তারা। চলছে লাগাতার প্রচারণা। পরিস্থিতি মোকাবেলার রণকৌশল স্থির করতে আজ নবান্নে আপতকালীন বৈঠক করেছেন এনডিআরএফ-এর কর্মকর্তারা।

Bootstrap Image Preview