Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘মহাবিপদে’ আবহাওয়া অফিস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৯, ০৪:৩০ PM
আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ০৪:৩০ PM

bdmorning Image Preview


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ এক সপ্তাহ আগে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। নাম হয় ফণী। যা বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে ৪ মে। কিন্তু এর আগেই দুর্যোগে পড়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একসঙ্গে অনেকে তথ্য জানতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করায় তা সাময়িকভাবে অচল হয়ে গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটটি। নেই ইন্টারনেট সংযোগও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকাল থেকেই সমস্যা হচ্ছিল। তবে দুপুরের কিছু আগে ওয়েবসাইটটি একেবারে ডাউন হয়ে যায়। অ্যাড্রেস সার্চ দিলে লেখা উঠছে- This site can’t be reached।

বৃহস্পতিবার সকালে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আগামীকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ফণী। এ অবস্থায় বিপুল সংখ্যক মানুষ আবহাওয়ার তথ্য জানতে একযোগে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে সাইট ডাউন হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এক আবহাওয়াবিদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্ততরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেছে। একসঙ্গে বেশি হিট হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা সচলের চেষ্টা করছেন। এটি ঠিক হতে ৪ ঘণ্টার মতো লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইন্টারনেটও নেই। তাই ডাটা ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। কেন ইন্টারনেট নেই, সেটা বিটিসিএল বলতে পারবে। আমরা তাদেরকে সমস্যার কথা জানিয়েছি।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে আজ বৃহস্পতিবার পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে ১৯৭৬ সালের পর ভারতীয় মহাসাগরীয় অঞ্চলে এত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়নি ভারত।

ভারতের দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামীকাল শুক্রবার ভারতের ওডিশা রাজ্য উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আছড়ে পড়ার সময় ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতি থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়ের। গত চার দশকেরও (৪৩ বছর) বেশি সময়, অর্থাৎ ১৯৭৬ সালের পর ভারত মহাসাগরে এত শক্তিশালী ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি দেশটি। ঘূর্ণিঝড় ফণী বর্তমানে তামিলনাড়ুর বিশাখাপট্টনমের পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার ও পুরী থেকে ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ১৯৭৬ সালের (গত ৪৩ বছরে) পর এখন পর্যন্ত এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরে যত ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার কোনোটি কখনই এত শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে সতর্কতা জারি করে রেখেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। ওডিশায় এরই মধ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূল দিয়েও বয়ে যেতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। এ ঘূর্ণিঝড়কে সামাল দিতে এরই মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ১ হাজার ৮৬ কোটি রুপি আগাম বরাদ্দ দিয়েছে। কাল দুপুরে ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ২০৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।

Bootstrap Image Preview