সাংবাদিকের উপর বেজায় চোটেছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আল হাসান শিশির। সামাজিক যোগাযোগ মাধম্য ফেসবুকে সাংবাদিকদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি প্রশ্ন তোলেন সাকিবকে কেন তাঁরা এতো ঘৃণা করেন?
গেল সোমবার বিশ্বকাপ দলের ফটোসেশনে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়েন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় বোর্ড সভাপতি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। এনিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের চ্যানেলের টক শোতে সাকিবের এই আচরণে সমালোচনা করেন দুই সাংবাদিক। পরে নিজের ফেসবুকের ভেরিফাইড পেজে ক্ষোভ ঝাড়েন সাকিবের স্ত্রী শিশির।
ফেসবুকে নিজের (সাকিব উম্মে আল হাসান) পেজে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বেশ বড় এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শিশির। সেখানে লিখেছেন, ‘সাংবাদিকদের নিয়ে আমার বলার কিছু নেই, কেন তারা সাকিব আল হাসানকে এত ঘৃণা করে। আমার ধারণা আমাদেরই দোষ। আমরা তাদের ডিনার বা লাঞ্চে দাওয়াত দিইনি, কিংবা তাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর কথা বলে তোষামোদ করিনি কিংবা তাদের দলের ভেতরের খবর দিইনি। সাকিব জীবনের এ পর্যায়ে এসেছে কঠোর পরিশ্রম করে। ছোটবেলা থেকে সে বিকেএসপিতে পরিশ্রম করেছে, শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছে। সে অভিনয় শেখেনি কিংবা মানুষের সহানুভূতি নিয়ে খেলা করাও শেখেনি। এখন মনে হচ্ছে সেটা শিখলেই ভালো করত। হয়তো এ কারণেই সে খুব একটা ইতিবাচক মানুষ না। যাই হোক সে নিজের ভালো কাজগুলো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে মানুষকে খুশি করতে চায় না এবং মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে চায় না।’
এরপরই মূল প্রসঙ্গে এসেছেন শিশির, ‘এখন আলোচনার বিষয় হলো সে কেন বিশ্বকাপের ফটোসেশনে ছিল না। প্রথমত সে এখানে যেতে পারেনি কিন্তু সেটা ইচ্ছে করে নয়। কারণ তাকে যে মেসেজ পাঠানো হয়েছিল সেটা ভুল বুঝেছে সে। এর পর সে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা দুঃখিত সে ঘটনা ভিডিও করে রাখিনি।’
এরপর একটি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানের সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন শিশির, ‘দ্বিতীয়ত একটি চ্যানেলে দুজন সাংবাদিক সাকিবকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছেন। এর মাঝে একটি হলো “সে বিখ্যাত হওয়ার জন্য করছে।” আমি যদি ভুল না করি, এটাই ওর সবচেয়ে কম দরকার। এটা আসলে উল্টো, আপনারা (সাংবাদিক) ওকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বলে বিখ্যাত হতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসা, এ ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে লাভজনক এবং আপনাদের প্রোফাইলও ভারী হবে! যদি তাঁর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে যেকোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করুন। মাঠ ও মাঠের বাইরে ভেতরের খবর নিন। বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে। তাঁকে তাঁর মতো থাকতে দিন। আমার মনে হয় আরও অনেক জিনিস আছে কথা বলার জন্য।’