দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও শক্তি সঞ্চয় করে রুপ নিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ের শক্তি আরো বাড়তে পারে।
বুধবার ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। অন্ধ্র উপকূল হয়ে ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসব হবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর ক্রমশ শক্তি হারাবে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার গতিতে ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে থাকা এ ঘূর্ণিঝড় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়তে শুরু করে ফণীর। ১ ও ২ মে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরালার কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ৩ মে থেকে ওড়িষ্যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।
ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িষ্যায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রবল শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।