Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৮৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফনী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৭ PM
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০২:৩৭ PM

bdmorning Image Preview


আরও শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের দক্ষিণ-পূর্বে ১ হাজার কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকার উপর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করবে ফণী। ১ অথবা ২ মে ১৮৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ফণী যত এগিয়ে আসবে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার থেকেই কেরালার কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি এটাও জানানো হয়েছে যে, ৩ মে থেকে ওড়িষ্যায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।

ফণী যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাল হচ্ছে সমুদ্র। তাই তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িষ্যায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২ মে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। তবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। অর্থাৎ ঠিক কোন সময়, কত গতিতে আছড়ে পড়বে তা জানানো হবে বলে উল্লেখ করেছে আবহাওয়া দফতর।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী প্রবল শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। সোমবারও বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঘূণিঝড়টি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

Bootstrap Image Preview