পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘ফিমেল মাইগ্রেশনের (নারী অভিবাসন) কথা আপনারা বলেছেন। ফিমেল মাইগ্রেশন আমাদের নলেজের বাইরে হচ্ছে। আমাদের একটা মন্ত্রণালয় আছে, বিধিবিধান আছে, কিছু ব্যবসায়ী আছেন, যারা এগুলো করেন। কিন্তু এর বাইরেও আমাদের সরকার এটাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে, তা কিন্তু সত্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এত বিশাল একটা মার্কেট এবং সাপ্লাই সাইট চেইন এখানে এত স্ট্রং যে, উপচে পড়ে নিজেরা গিয়ে লাফ দিয়ে পড়ছে। আমাদের নলেজের বাইরে। এর পেছনে অনেক কারণ আছে।’
রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
নারীদের অভিবাসনের বিষয়ে এম এ মান্নান আরও বলেন, ‘এটাকে কীভাবে হ্যান্ডেল করা যায়, এটাকে কীভাবে রেগুলেট করা যায়, অথবা এটাকে ভালো পথে নেয়া যায়। কেননা এখানে একটা রুজির প্রশ্ন আছে। এটাকে তো আমরা বাদ দিতে পারছি না। সেটাকেও আমাদের নজরে রাখতে হচ্ছে। আমরা আশা করি, আইডিএ আমাদের বুদ্ধি দেবে, আইডিয়া দেবে। আমরা কীভাবে এটার সমাধান করতে পারি।’
এর ইতিবাচক দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা যাচ্ছিল, গ্রিন লেবার। ওরা কিন্তু হলুদ বা কাঁচা হলুদ লেবার হয়ে ফিরে আসছে ৮, ১০, ১৫ বছর পরে। একই সঙ্গে অভিজ্ঞতা হচ্ছে, সচেতন হচ্ছে, কিছু দক্ষতা অর্জন করেছে। যেমন শুরুতে কিন্তু তারা কিছু বোঝে নাই। সম্পূর্ণ সবুজ গিয়েছিল। যে গ্রামাঞ্চল থেকে ৯০ ভাগই যায় তারা, সেই গ্রামেই তো তারা ফিরে আসে। এর মধ্যে কিছু অ্যাসেট বিল্ড আপ করেছে গ্রামে। ঘর বানিয়েছে, জমি কিনেছে। ছোটখাটো দোকান দিয়েছে। অর্থনীতিতে এগুলোর কী প্রভাব পড়বে, সেগুলো দেখার বিষয়।’
এ সময় শিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনি (শিক্ষিতরা) এমন চাকরি চান, যেখানে আপনি আরামে বসে থাকবেন, কাজ করতে রাজি না, দ্যাট ইজ নট এমপ্লয়মেন্ট। আমার মনে হয় না, অর্থনীতিতে এ ধরনের কর্মসংস্থানের কোনো প্রয়োজন আছে। যারা কোনো কিছু উৎপাদন করতে পারবে না, যাদের কোনো আউটপুট নাই, তাদের কী প্রয়োজন এখানে আছে।’
‘আমি দেখেছি, যে শ্রমিক কৃষক, কেউ বেকার নয় এ দেশে। তারা উৎপাদন করছে। সরকার এতে খুশি। কিন্তু যারা শিক্ষিত এরা হার্ট কর,’ যোগ করেন এম এ মান্নান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিউদ্দিন মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুর্শিদ।