বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যমুনা নদীর বাঁধ কেটে মাটি বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বাদী হয়ে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং গোসাইবাড়ি এএ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহড়াবাড়ি থেকে মাধবডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত এক হাজার মিটার দীর্ঘ যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রায় ২৫ বছর আগে বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রতিবছর বন্যার হাত থেকে রক্ষা পায় ধুনট, শেরপুর, কাজিপুর ও রায়গঞ্জ উপজেলার লাখ লাখ পরিবার।
এ দিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন রোধে বানিয়াজান গ্রামে নদীর বুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার দীর্ঘ স্পার (মাটির বাঁধ) নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধ ঘেঁষেই আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলামের নিজম্ব আবাদি জমি। এক সপ্তাহ ধরে তিনি নিজস্ব জমি থেকে মাটি কর্তনের এক পর্যায়ে বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
এ ঘটনায় বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বাদী হয়ে ২৪ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাঁধের পাশে নিজস্ব জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করছি। এই মাটি বাঁধ সংস্কার কাজের ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করেছি। এ ছাড়া স্থানীয় একটি বাড়ি উঁচুকরণের কাজ করা হয়েছে। মাটি কেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কোন প্রকার ক্ষতি করা হয়নি। তারপরও আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটতে রফিকুল ইসলামকে প্রাথমিকভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও মাটি কেটে নিলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, আবাদি জমির টপ সয়েল কর্তন দণ্ডনীয় অপরাধ। বাঁধের ক্ষতি করে মাটি কর্তনের অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।