চাঁদপুরের হামইচরে গত শুক্রবার রাতে পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওইদিন রাত থেকেই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড নদীতে তল্লাশি চালায়। দীর্ঘক্ষণ অভিযানের পর অবশেষে মেঘনা নদীর হাইমচর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান পুলিশ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালের দিকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল এবং কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযান চালিয়ে আজকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন।
হাইমচর থানার ওসি শেখ মহসীন আলম বলেন, ওই দিন রাতে জেলেদের হামলায় নিখোঁজ হন মোশারফ। দুই দিন পর চরভৈরবির লামারচরে তার মরদেহ ভেসে উঠে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় অভিযানে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। রাত ২টার দিকে বাসায় খবর দেয়া হয় মোশারফকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ছয় বছর আগে মোশারফ সহকর্মী শামীমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের মাহির মোশারফ নামে চার বছরে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত দুই বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী দুজনই হাইমচর থানায় কর্মরত আছেন। মোশারফের বাড়ি চট্টগ্রামের শীতাকুণ্ড উপজেলার বারবকুণ্ড এলাকার মিজিপাড়ায়।