শ্রীলংকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতা মনে করা হচ্ছে হাশিম মোহাম্মদ জাহরানকে। সে নিজেও হামলায় অংশ নেয়। জাহরান শাংগ্রি লা হোটেলে আত্মঘাতী হামলা চালায় জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। মোট ৯ জন আত্মঘাতী হামলাকারী ওই দিন আট জায়গায় হামলা চালায়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, হামলাকারীরা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা এবং উচ্চশিক্ষিত। তাদের কেউ কেউ বিদেশেও লেখাপড়া করেছেন।
ব্যতিক্রম একমাত্র জাহরান। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে সে। কিন্তু নিজের কট্টর মতের কারণে বহিষ্কার হয়। এর পরও বদলায়নি সে। বরং আস্তে আস্তে পুরোই বখে যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের তীরের ছোট্ট শহর শ্রীলংকার কাত্তানকুড়িতে দুই কক্ষের একটি বাড়িতে পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন জাহরানের পিতা-মাতা।
জাহরানের বাবা রাস্তায় রাস্তায় খাবার বিক্রি করতেন। মাঝে মধ্যেই যার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠত। ১২ বছর বয়সে জাহরান ‘জামিয়াতুল ফালাহ অ্যারাবিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এ লেখাপড়া শুরু করেন।
নিজের অসাধারণ স্মরণশক্তি দিয়ে শুরুর দিকে শিক্ষকদের চমকে দিয়েছিলেন ছোট্ট জাহরান। সেখানে তিন বছরে তিনি মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হন।
তারপর তিনি ইসলামী আইন নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। কিন্তু দিন দিন শিক্ষকদের সঙ্গে জাহরানের মতবিরোধ বাড়তে থাকে।
২০০৫ সালে তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন প্রিন্সপাল এমএস আলিয়ার (৭৩)। জাহরান ২০০৫ সালে স্কুল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর নিজের শহর কাত্তানকুড়িতে ফিরে যান।
২০০৬ সালে জাহরান ‘দারুল আথার’ নামে একটি মসজিদে যোগ দেন এবং সেটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হন। কিন্তু তিন বছর পর তাকে সেখান থেকেও বের করে দেয়া হয়।