Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকার আত্মহত্যা

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১২ PM
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১২ PM

bdmorning Image Preview


কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্নাতক শির্ক্ষাথী তানিয়া বেগম (২৩)।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তানিয়া পড়াশুনার পাশাপাশি স্থানীয় একটি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যচর গ্রামের মীর বাড়ির মো. মিলন মীরের বড় মেয়ে তিনি।

জানা যায়, তানিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে গেলে বাড়ির লোকজন ওই প্রেমিককে আটক করে। এ সময় প্রেমিল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিকা রাগে, অভিমানে আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর শনিবার দুপুরে পুলিশ প্রেমিকা তানিয়া বেগমের মরদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

তানিয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তানিয়া বেগম লেখাপড়ার পাশাপাশি সাজেদা আলাল নামের একটি হাসপাতালে নার্সের চাকরি করত। অপরদিকে, প্রেমিক মিজানুর রহমান একই হাসপাতালে ফার্মেসীতে চাকরি করত। এই সুবাদে দু'জনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাটি তার পরিবারের অভিভাবকরা জানত না। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিক মিজানুর রহমান তার প্রেমিক তানিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজনের চোখে ঘটনাটি ধরা পরলে প্রেমিককে আটক করে তানিয়ার অভিভাবকরা।

আটকের পর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রেমিকের অভিভাবকদের খবর দেয় তারা। এ সময় তানিয়ার অভিভাবকরা বিয়ে করতে চাপ দেয় মিজানুরকে। কিন্ত প্রেমিক তখন বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ ঘটনাটি আশেপাশের মানুষের মধ্য জানাজানি হলে তানিয়া লজ্জায় পরে যায়। এরপর তানিয়ার পরিবারের লোকজন মিজানুরকে শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে চলে আসে।

পরে আজ শনিবার সকালে প্রেমিকা তানিয়া বেগম রাগ, অভিমান সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলে আত্মহত্যা করে।

তানিয়ার মা শেফালী বেগম জানান, দু'জনের প্রেমের বিষয়টি আমরা জানতাম না। গত বৃহস্পতিবার ঘটনার পর আমি চেয়েছিলাম ঘটনাটি মানুষের মধ্য জানাজানি হয়েছে, তাই মেয়েকে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো। কিন্ত মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা রাজী না হওয়ায় বিয়ে হয়নি।

তিনি বলেন, ঘটনা শুনে প্রতিবোশী কিছু লোকজন আমার মেয়েকে ধিক্কারসহ গালমন্দ করেছে। লজ্জা ও রাগ-ক্ষোভে আমার মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে। আমি ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করব।

ভৈরব থানার এসআই মো. আমজাদ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তানিয়ার মরদেহ থানায় আনা হয় এবং রবিবার তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে।

তিনি বলেন, তানিয়ার পরিবার চাইলে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী হিসেবে প্রমিক মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তবে বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানকে জানানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী ওসি সাহেব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

Bootstrap Image Preview