Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নন্দিত অভিনেতা সালেহ আহমেদের সাদামাটা বিদায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪১ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪১ PM

bdmorning Image Preview


বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যান নন্দিত অভিনেতা সালেহ আহমেদ। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও তার মরদেহ দেখতে এদিন রাত আটটা পর্যন্ত দেখা যায়নি শোবিজ অঙ্গনের কোনো পরিচিত মুখ।

রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে বিকেল চারটার পর এই অভিনেতার মরদেহ তার উত্তরখান এলাকার বাসায় নেয়া হয়।

এ সময় আত্মীয়-স্বজন অনেকে মরদেহ দেখতে এলেও দেখা মেলেনি অভিনয় সংশ্লিষ্ট কোনো শিল্পীর।

সালেহ আহমেদের মামাতো ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু বলেন, মৃত্যুর সংবাদ পেয়েও সালেহ আহমেদকে হাসপাতালে কোনো শিল্পী দেখতে আসেননি। তবে জাহিদ হাসান, আহসান হাবিব নাসিম, আনিসুর রহমান মিলন, মীর সাব্বির, দিলারা জামান ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন।

সালেহ আহমেদের স্ত্রী মুসলিমা আহমেদ বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে হয়তো শিল্পীরা তাকে দেখতে আসেননি। শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন অনেকে। কারো আসা বা না আসা নিয়ে আমাদের অভিযোগ নেই, তবে যে মানুষটা অভিনয়ে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন অন্তত একবার হলেও তার মরদেহ দেখতে আসা উচিত ছিল।

৮৪ বছর বয়সে মারা যান সালেহ আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে দেখা গেছে সালেহ আহমেদকে। প্রতিটি নাটকে তার উপস্থিতি হাস্যরস যোগাতো। অভিনয়ে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। ২০১১ সালে ব্রেন স্ট্রোকের পর তিনি ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান।

ফ্রেমে বাঁধানো সালেহ আহমেদের ছবি হাতে মামাতো ভাই ও অভিনেতা আহসানুল হক মিনু…

অসুখ বিসুখে সালেহ আহমেদের জীবন হয় বিছানাবন্দি। সালেহ আহমেদের একমাত্র পুত্র সাব্বির আহমেদ বলেন, পাঁচ বছরের বেশি সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। দীর্ঘদিন তাকে টিউবের মাধ্যমে খাওয়ানো হতো। ২২ এপ্রিল অবস্থা বেশি খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আজ দুপুরে তিনি মারা যান।

সালেহ আহমেদের স্ত্রী মুলসিমা আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ২০১৫ সালে ১২ এপ্রিল বড়মেয়ে লিজা মারা যাওয়ার পর তিনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান। প্রায় মেয়ের কবরের কাছে ছুটে যেতেন, কাঁদতেন। মানসিকভাবে ওইসময় প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন। তারপর থেকে তার শরীরে বিভিন্ন অসুখ বাঁধতে থাকে।

সালেহ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বুধবার বাদ এশা ফায়দাবাদ এলাকায় গণকরবস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

Bootstrap Image Preview