Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঋণ দেওয়ার নামে গ্রহককে জিম্মি করে প্রতারণার অভিযোগ

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৬ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:১৬ PM

bdmorning Image Preview


রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সিসিডিবি’র নামের এক এনজিওর বিরুদ্ধে গ্রহককে জিম্মি করে ঋণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে

বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলার ঝিকড়াপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবু সালাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লোন হয়রানী ও প্রতারণার অভিযোগ লিখিত আকারে পেশ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবু সালাম বিগত ছয় বছর ধরে সিসিডিবি কাকনহাট শাখার সাথে নিয়মিত লেনদেন করে আসছে। আবু সালাম সব লোন পরিশোধ করার পর নতুন লোনের জন্য আবেদন করে। এ জন্য জামানায় হিসেবে নগদ (৫০০০) পাঁচ হাজার টাকা, বসতবাড়ির দলিল, লেনদেনকৃত ব্যাংক হিসাবের দুটি ফাঁকা চেক, ব্যসবার ট্রেড লাইসেন্স, পূর্বের লেনদেন হিসাবের পাশবই এবং চারজন সনাক্তকারীর নামসহ যাবতীয় কাগজপত্রদি জমাদানের পরও লোন প্রদান করা হবে বলে ১১ বার অফিসে ডেকে হয়রানী করে।

সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল বুধবার অফিসে ডেকে কোন কারণ ছাড়াই জানিয়ে দেয়- আবু সালামকে আর লোন প্রদান করা হবে না। কিন্তু জমা দেওয়া সকল কাগজ পত্রাদি ফোরত দেয়নি এখন পর্যন্ত। এতে করে ওই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দারুন ভাবে হাতাশা গ্রস্থ ও ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধিক হচ্ছে।

আবু সালাম আরো জানান, সিসিডিবি’র ম্যানেজার নিজে স্থানীয় চক্রান্তে জড়িত হওয়ার ফলে এমন কাজ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে সিসিডিবি কাকনহাট শাখার ম্যানেজার ইন্দ্রোজিত রায় বলেন, গ্রাহক আবু সালাম নিয়তিম ঋণ পরিশোধ করেতে বিলম্ব করে, তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৬ বছরে তাকে তিনবার ঋণ আপনার অফিস হতে দেওয়া হয়েছে এবং সকল ঋণ পরিশোধ করা আছে তাহলে কেমন করে ঋণ খেলাপী হলো তা প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর দিতে পারেনি।

পুনরায় প্রশ্ন করা হয় ঋণখেলাপি হলে পুনরায় ঋণ দেবেন তার জন্য জামানতের টাকা ও বাড়ির দলীল কেন রেখেছেন কেন- এই প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি নিরবতা পালন করে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শিমুল আকতার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview