জ্বরে আক্রান্ত স্কুলছাত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ডাক্তারের ধর্ষণ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চেয়ারম্যান সামছুল আলম মৃধা, সহকারী শিক্ষক সামসুজ্জোহা পান্নাসহ নেপা ইউনিয়নের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। আজ চিকিৎসা নিতে গিয়েও আমাদের মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। এসব বন্ধে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই স্কুলছাত্রী জ্বরে ভুগছিল। জ্বর ভালো না হওয়ায় শনিবার রাতে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের নাজ ফার্মেসিতে ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বাবা। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ছাত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সময় পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম ছাত্রীর বাবাকে বলে দেয় সকালে পাঠিয়ে দেবেন আরও চিকিৎসা দিতে হবে।

রবিবার সকালে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের কথামতো চিকিৎসার জন্য ছাত্রীকে নাজ ফার্মেসিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম ছাত্রীর শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। সেই সঙ্গে একটি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষণ করে সাইফুল ইসলাম।

পরে পরিবারের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্কুলছাত্রীকে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে ছাত্রীর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন ছাত্রী।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।