Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিকের বাড়ির লোকের অপমাণ সহ্য করতে না পেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৪৪ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালিগঞ্জ তাঁতীপাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির লোকজনের মারপিটের অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুরভী নামে এক শিক্ষার্থী।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছেন।

শিক্ষার্থী সুরভী গোলনা কালিগঞ্জ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং উক্ত গ্রামের সুধা রাম দেবনাথের মেয়ে।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক শিবু রায় (২০), তার বাবা ললিত রায়, মা রঙ্গিলা রায়, বড় বোন লতারানীসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ তার প্রেক্ষিতে ওই প্রেমিকের মাকে গ্রেফতার করতে পারলেও পালিয়ে গেছে প্রেমিক ও প্রেমিকের বাবা ও বড় বোন।

অভিযোগে জানা গেছে, গ্রামের প্রতিবেশি ললিত চন্দ্র রায়ের ছেলে শিবু রাম রায় (২০) এর সাথে মেয়েটির প্রেমের সর্ম্পক ছিল। কিন্তু ছেলে পক্ষ এই প্রেমের সর্ম্পক মেনে না নিয়ে গ্রামে বৈঠক ডাকে। বৈঠকে প্রেমিক-প্রেমিকা ২ জনে বিয়ে করার দাবি তুললেও ছেলের পরিবার এতে রাজি হয়নি। রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মেয়েটি বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গেলে তাকে মারপিট ও অপমাণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। মেয়েটি আহত অবস্থায় নিজবাড়িতে ফিরে এলে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে তার চিকিৎসা করা হয়।

পরে একই দিন গভীর রাতে সবার অজান্তে মেয়েটি বাড়ির পেছনে একটি গাছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সোমবার (২৩ এপ্রিল) সকালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষজন পুলিশকে খবর দেয়। মেয়েটির আত্মহত্যার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে পালিয়ে যায় প্রেমিক শিবু, তার বাবা ললিত চন্দ্র রায় ও তার বোন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে প্রেমিক শেবুর মা রঙ্গিলা রানীকে আটক করে।

জলঢাকা থানা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

Bootstrap Image Preview