লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের চমরের চৌপুতি এলাকার তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে আগামী বর্ষায় ওই এলাকায় পাইলিং বাঁধসহ নদী ভাঙ্গন বেড়ে যেতে পারে।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি প্রভাবশালী মহল সিন্ডিকেট তৈরি করে তিস্তা নদী থেকে ট্রাক যোগে বালু উত্তোলন করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে।
বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকায় তিস্তা নদীতে একটি শাখা নদী বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সির্ন্দুনা ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সিন্দুর্না ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিন্ডিকেট করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে পাইলিং বাঁধ নষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রসাশনকে জানানো হলে কোনো প্রতিকার হয়নি। প্রায় ১ মাস ধরে ৬টি ট্রাক এ বালু উত্তোলনের জমজমাট ব্যবসা করছে। প্রতি বালু ট্রাকের জন্য সিন্ডিকেটকে ১ শত ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। ওই টাকার ভাগ চলে যাচ্ছে রাতারাতি বিভিন্ন জনের কাছে।
ওই এলাকার মিজানুর রহমান, আল আমিন ও জীবন আলী অভিযোগ করেন, তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন রোধে পাইলিংগুলো হুমকির মুখে। পাশাপাশি আগামী বর্ষায় আমরা সিন্দুর্না ইউনিয়নবাসী ক্ষতির সম্মুখীন হব। বিষয়টি আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করেছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। যদি কেউ বালু উত্তোলন করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।