রাজশাহী-১ তানোর গোদাগাড়ী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিনুল হক ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল দশটার দিকে তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস সালাম শাওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিডিমর্নিংকে জানান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক দীর্ঘদিন থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বাংলাদেশে এনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের ইন্তেকালে বিএনপি’র পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির ব্যারিস্টার আমিনুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবাবের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এই নেতাকে হারিয়ে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ১টা ৩০ মিনিটে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে। ৪টায় জাতীয় সংসদ দক্ষিণ প্লাজায়। ৫টা ৩০ মিনিটে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। এরপর নিজ এলাকায় দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার আমিনুল হক রাজশাহী-১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ বিএনপি সরকারের আমলে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি ধানের শীষ প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে শেষ পর্যায়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার প্রভাব ছিল চক্ষুষ্মান। সর্বশেষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় তিনি ইহকাল ত্যাগ করলেন।