হবিগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাক্ষী দিতে এসে আসামির ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন কাজল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ জেলা আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কাজল বাহুবল উপজেলার আব্দাকামাল গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র। গুরুতর আহত অবস্থায় কাজল মিয়াকে সিলেট এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দাকামাল গ্রামের মোহরী মজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দায়েরকৃত একটি মামলায় সাক্ষী দিতে আসেন কাজল মিয়া। এসময় জেলা জুডিশিয়াল ভবনের নিচ তলায় মজিদ মিয়া ও তার সহযোগীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত কাজল মিয়ার উপর হামলা চালায়।
এসময় ধারলো অস্ত্রের আঘাতে সে গুরুতর আহত হলে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজল মিয়ার দেহে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি গুরুত্বর আঘাত রয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত রক্তাক্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তাকে সিলেট এম,এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে আহত কাজল মিয়া সিলেট এম,এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (আই সি ইউ) এর লাইফ সাপোর্ট এ আছেন।
কাজল মিয়ার পুত্র মাসুম জানান, রাত ১০টায় তার অপারেশন করা হয়েছে।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুক আলী বলেন, কাজল মিয়া এবং মজিদ মিয়ার মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারি হয়েছিল ২০১৬ সালে। পরে কাজল মিয়ার বড় ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে মজিদ মিয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার সাক্ষী ছিলেন কাজল মিয়া। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মামলার সাক্ষী দেওয়ার তারিখ ছিল।
হবিগঞ্জ জেলা আদালতের পরিদর্শক মোঃ আল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।